বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল। বর্তমানে পর্দায় তাকে তেমন নিয়মিত দেখা না গেলেও একটা সময় দর্শকদের একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন এ অভিনেত্রী। তবে সিনেমার জগতে এত বছর অতিক্রম করার পর সম্প্রতি এ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অভিনয় নয়, একসময় চাকরি করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন? কাজল তার মা প্রবীণ অভিনেত্রী তনুজাকে নিয়ে হাজির হবেন ‘কৌন হোনার ক্রোড়পতি’তে। হিন্দি ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র মারাঠি ভার্সনে।
এই শো চলাকালীন কাজল ফাঁস করেছেন তিনি কখনো অভিনেত্রী হতে চাননি। তিনি চাকরি করতে চেয়েছিলেন। কৌন হোনার ক্রোড়পতি’র পরিচালকের আসনে শচীন খেদেকর। শো চালাকালী কাজল জানান, ‘আমি কখনই বলিউড বা হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অংশ হতে চাইনি। আমি অভিনেত্রী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করতে চাইনি। আমি সবসময় চাকরি করতে চেয়েছিলাম। এমন একটি চাকরি যেখানে আমি প্রতি মাসে আমার অ্যাকাউন্টে বেতন চেক পেতে পারি।
১৯৯২ সালে রাহুল রাওয়াইলের ‘বেখুদি’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন কাজল। বাজিগর, ইয়ে দিল্লাগি, করণ অর্জুন, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে, গুপ্ত, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, মাই নেম ইজ খান, ফানা এর মতো হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। বলিউড সিনেপ্রেমীদের অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দেওয়ার পর পুরনো এক সাক্ষাৎকারে কাজল জানিয়েছিলেন, আচমকা আসা সুযোগ একজন অভিনেত্রী হয়েছিলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে কাজল আরও বলেন, আমার শুরুটা ভালো হয়নি। আমার প্রথম ছবি ভালো ব্যবসা করেনি। আমি কখনই অভিনয় ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চাইনি। আমার সঙ্গে ঘটেছে। আমি স্রোতের সঙ্গে বয়ে চলেছি। আমি সবসময় আমার সিদ্ধান্তকে বেশি গুরুত্ব দিতাম এবং সবসময় পছন্দসই ছিলাম। যে কোনো ছবিতে কাজ করা আমার কাছে দুর্দান্ত সময় ছিল। অনেক দুর্দান্ত ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর বিবাহবার্ষিকীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছিলেন স্বামী অজয় দেবগন। এবার তাদের ২৩তম বিবাহবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।